
shershanews24.com
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ১২:০৪ অপরাহ্নফ্রেন্ডের ১৩ বছর বয়সী বোন ফারজানা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় এনাম মেডিকেল কলেজের ডাক্তার অধ্যাপক ডাঃ আইরিন পারভীনের প্রাইভেট চেম্বারে নিয়ে গেল। ভদ্রমহিলা রোগী দেখার ফি নিলেন ৭০০ টাকা।
অসুস্থতার কারণে স্কুলের রুটিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় অধ্যাপক ডাঃ আইরিন পারভীনের কাছে স্কুলে জমা দেওয়ার জন্য লিখিত তথা অসুস্থতার সামারি লিখে দিতে বলতেই উনি আরো ৭০০ টাকা দাবি করেন। যা ডাক্তারের ভাষায় মেডিকেল সার্টিফিকেট! উনার চাওয়ার ধরন এমন ছিল যে ৭০০ টাকার চাইতে এক টাকা কম হলেও দেওয়া হবেনা। যেহেতু স্কুলের নিয়ম- অসুস্থ হলে ডাক্তারের লিখিত পেপার লাগবে সেহেতু নিরুপায় হয়ে আরো ৭০০ টাকা দিয়েই বন্ধুটি ডাক্তারের দেওয়া অসুস্থতার সার্টিফিকেট নিয়ে বাসায় ফিরে!
ডাক্তারের দেওয়া সার্টিফিকেটটি আমাকে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে দেখাতেই রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম! যে কাগজে অধ্যাপক ডাঃ আইরিন পারভীন রোগীর জন্য প্রেসক্রিপশন লিখেছেন একই প্যাডের আরেকটা প্রেসক্রিপশন লেখার পেপারে ৫ লাইনে রোগীর নাম, তারিখ, কি সমস্যা, অসুস্থতার তারিখ তা লিখে দিয়েছেন ! প্রেসক্রিপশন লেখার কাগজে যে মেডিকেল সার্টিফিকেট লেখা হয়না ব্যাপারটি বন্ধু জানত না। তাই ভদ্রমহিলা ডাক্তার যা দিয়েছেন যা বলেছেন তাই বিশ্বাস করে নিয়ে বাসায় ফিরেন !
প্রেসক্রিপশন লেখার কাগজে যে মেডিকেল সার্টিফিকেট লেখা হয়না ব্যাপারটি বন্ধুকে বলার পরও মেনে নিল। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ বলেই ব্যাপারটি হয়ত বন্ধুটি মেনে নিয়েছে।
কিন্তু বন্ধুটির প্রশ্ন হচ্ছে, একজন স্টুডেন্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় স্কুলের রুটিন কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে ৭০০ টাকা ফি দেওয়ার পরেও আরো ৭০০ টাকা দিতে হবে কি অসুখ সেটা একটা কাগজে লিখে দেওয়ার জন্য?