বৃহস্পতিবার, ০৭-ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৯ অপরাহ্ন
  • বিনোদন
  • »
  • মাদকসহ গ্রেফতার শাহরুখপুত্র, বলিউড ও ভক্তদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি

মাদকসহ গ্রেফতার শাহরুখপুত্র, বলিউড ও ভক্তদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি

shershanews24.com

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০৩:০৩ অপরাহ্ন

সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজের সৌজন্যে: মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে এক মাদক-পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান। সেখান থেকে ৩ অক্টোবর তাকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরপ্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আরিয়ান। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে বলিউড ও ভক্তদের মাঝে। এনসিবির কর্মকর্তারা জানান, ক্রুজটিতে রেভ পার্টি চলছিল। শুধু বলিউড নয়, ফ্যাশন জগতের অনেকেও ছিলেন সেখানে। পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারের খবর পেয়েই সেখানে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। শনিবার রাতে যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই ক্রুজে উঠেন এনসিবির গোয়েন্দারা। পার্টিতে নেশারত অবস্থায় ১০ জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তারা। 
 

যেসব মাদকসহ গ্রেফতার হলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান
প্রমোদতরীতে যে ভাবে মাদক লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা দেখে রীতিমতো অবাক তদন্তকারীরা। এনসিবি সূত্রে খবর, আরিয়ানের লেন্স রাখার বাক্স থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক। এবং তার বান্ধবীদের স্যানিটারি প্যাড, ওষুধের বাক্স, জামাকাপড়, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যেও রাখা ছিল মাদক। খুব সহজে যাতে মাদকের হদিস না পাওয়া যায়, মূলত সেই কারণেই সেগুলিকে এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। পার্টি থেকে কোকেন, হাশিস, এমডিএম-এর মতো প্রচুর পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে নাকি, কোথায় থেকে এতো পরিমাণ মাদক এলো, কারা তা নিয়ে প্রমোদতরীতে গেলেন সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। আরিয়ানের পরোয়ানায় লেখা রয়েছে, ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১,৩৩,০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর টার্মিনালে। 
 

মাদক সংগ্রহ করা হয় যেভাবে
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কর্ডিলিয়া প্রমোদতরীতে গত ২ অক্টোবর রাতে যে মাদক আনা হয়েছিল, তা ভারতীয় রুপিতে নয়, কেনা হয়েছে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে  বিটকয়েনের মাধ্যমে। সোমবারই শ্রেয়স নায়ার নামে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছেন প্রমোদতরীতে ওই রাতে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে মাদকের অর্ডার পেয়েছিলেন। তার জন্য তাকে কোনো নগদ টাকা দেওয়া হয়নি। পুরো টাকাটাই মেটানো হয়েছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে।
 

গ্রেফতারের পর বাবাকে নিয়ে যা বললেন আরিয়ান
এক শীর্ষ স্থানীয় ইংরেজি পত্রিকার খবর অনুযায়ী, চার পাতার বয়ানে অনেক কিছু বলেছেন আরিয়ান। বয়ানে এই তারকাপুত্র বলেছেন, ‘আমার বাবা শাহরুখ খান অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। এই মুহূর্তে একসঙ্গে তিনটি ছবির শুটিং করছেন ওনি। আর বাবা এতটাই ব্যস্ত যে অনেক সময় ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য ম্যানেজার পূজার কাছে আমায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। এদিকে গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে ছেলেকে দেখার জন্য ছুটে গেছেন শাহরুখ খান। সেখানে কথা বলারও সুযোগ পেয়েছেন। আরিয়ানের সঙ্গে মাত্র ২ মিনিট কথা বলতে পেরেছেন শাহরুখ খান। এ সময় বাবার সামনে কাঁদতে থাকেন আরিয়ান। ছেলেকে বাঁচাতে এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন শাহরুখ খান। ‘পাঠান’ ছবির একটি গানের কাজের জন্য স্পেনে যাওয়ার কথা ছিল শাহরুখের। জানা যায়, আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছেন তিনি। ভারতের বিখ্যাত আইনজীবী সতীশ মানশিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন শাহরুখ খান। ছেলে আটক হওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গৌরী। কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল তারও। আপাতত শাহরুখের সঙ্গে শহরে থাকছেন গৌরী। দুঃসময়ে ছেলের পাশে থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
 

আরিয়ানের সঙ্গে  গ্রেফতার হওয়া বান্ধবী কে এই মুনমুন? 
প্রমোদতরীর পার্টি থেকে আরিয়ানের সঙ্গেই এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তার  বান্ধবী মুনমুন ধামেচাকেও। গ্রেফতারের পর থেকে এ ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। তার স্যানিটারি প্যাডে লুকিয়ে রাখা ছিল মাদক। শাহরুখ-তনয়ের সঙ্গে তার ‘গাঢ় বন্ধুত্ব’ নিয়ে ইতিমধ্যেই সোরগোল পড়েছে।  কে সেই মুনমুন? কী করেন তিনি? জানা গেছে, মধ্য প্রদেশের এক ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে মুনমুন। পেশায় তিনি মডেল। পেশার সূত্রেই বলিউড তারকাদের সঙ্গে তার ওঠাবসা। গুরু রান্ধাওয়া, অর্জুন রামপালের মতো শিল্পীও রয়েছেন সেই তালিকায়। ইনস্টাগ্রামেও বেশ জনপ্রিয় মুনমুন। সেখানে ফলোয়ারের সংখ্যা দশ হাজারেরও কিছু বেশি। ২০১৪ সাল থেকে এই অ্যাপটি তিনি ব্যবহার করছেন। তবে ইনস্টাগ্রামে শাহরুখ পুত্রের সঙ্গে তার কোনো ছবি দেখা যায়নি। মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) জেরার মুখে মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মডেল মুনমুন। জানিয়েছেন, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি হোটেলের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। সোমবার আরিয়ানের সঙ্গেই তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত আরিয়ান-মুনমুন ধামেচাদের আরও তিনদিন হেফাজতে রাখার অনুমতি দেন। 
 

টাকার বিনিময়ে পার্টিতে গিয়েছিলেন মুনমুন!
এদিকে এক সাক্ষাৎকারে মুনমুনের আইনজীবী ভিন্ন দাবি করেছেন। তিনি বলছেন, টাকার বিনিময়ে ওই পার্টিতে নেওয়া হয়েছিল মুনমুনকে। আরিয়ান-আরবাজের মতো মুনমুনও গোয়াগামী প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তারও টিকিট ছিল না। বলরাম নামের এক ব্যক্তি মুনমুনের টিকিট করেছিলেন। আইনজীবী আলি কাসিব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মুনমুন পেশায় মডেল। পার্টি নজরকাড়া করে তুলতেই তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলা হয়েছিল।’
 

সাধারণ কয়েদির খাবারই বরাদ্দ ‘বলিউড বাদশ ‘ শাহরুখের ছেলের জন্য
আক্ষরিক অর্থেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন ‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখের ছেলে আরিয়ান। বিশ্বের অন্যতম ধনী অভিনেতার এ প্রাসাদোপম ‘মান্নত’-এ বেড়ে ওঠা, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। কিন্তু রাজকীয় সেই ছবি বদলে গেল এক রাতেই। প্রমোদতরীর মাদক পার্টিতে যোগ দিয়েই জীবনের মোড় ঘুরে গেল বলিউড বাদশার বড় ছেলের। বিলাসবহুল বাড়ি থেকে সোজা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হাজত। আপাতত সেই রুদ্ধদ্বার কক্ষেই দিন কাটবে তার। এনসিবি সূত্রে জানিয়েছে, তদন্তে সাহায্য করছেন শাহরুখপুত্র। সব প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছেন, যা করেছেন, তার জন্য অনুশোচনাও প্রকাশ করেছেন। ‘তারকা-সন্তান’, তবু আর পাঁচজন অভিযুক্তের মতোই রাখা হয়েছে আরিয়ানকে। শাহরুখের ছেলে হিসেবে বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না আরিয়ান। এনসিবির মেসে তৈরি সাধারণ খাবার খাচ্ছেন বলিউডের ‘বাদশার’ পুত্র। বাড়ি থেকে খাবার আনতে প্রয়োজন আদালতের বিশেষ অনুমতি। আপাতত তাই বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে সাদামাঠা খাবারই খাচ্ছেন আরিয়ান।
 

আরিয়ান ও নিজের ছেলেকে নির্দোষ দাবি করলেন আইনজীবী আসলাম
গোয়াগামী প্রমোদতরীর পার্টিতে যাওয়ার আগে ঠিক কী কী করেছিলেন  আরিয়ান ও বন্ধু আরবাজ? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানান আরবাজের বাবা আইনজীবী আসলাম মার্চান্ট। আসলামের দাবি, আরিয়ান বা আরবাজ প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। শেষ মুহূর্তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ছেলে আমার সঙ্গে সকালে নাস্তা করেছে। এমনকি রাতে ফিরে আমার সঙ্গেই খাওয়া দাওয়া করবে বলেও জানিয়েছিল। অতিথি হিসেবেই প্রমোদতরীতে উপস্থিত ছিল ওরা। শাহরুখপুত্র এবং তার ছেলে, দুজনকেই নির্দোষ বলে চিহ্নিত করেছেন আসলাম। তার দাবি, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ দায়ের করা হয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে। উদ্ধার হওয়া মাদক সবই প্রমোদতরীর ভেতরে ছিল। জাহাজের বাইরে কোনো মাদক মেলেনি। আরবাজের বাবা বলেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে বলছি, বিচারব্যবস্থার ওপর ভরসা রয়েছে আমার। বিশ্বাস করি, দু’জনই খুব তাড়াতাড়ি ছাড়া পেয়ে যাবে। ওদের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বেশিকিছু বলার সময় আসেনি।’
 

শাহরুখ খানের দুঃসময়ে পাশে আছে বলিউড
ছেলের গ্রেফতারে বলিউড বাদশার জীবনে নেমে এসেছে যেন বিপর্যয়। চারদিকে নানা রকম সমালোচনা তো আছেই, ইমেজ সংকটেও পড়েছেন তিনি। লিজেন্ডারি এ অভিনেতা ও প্রযোজকের দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন বলিউডের তারকারা। বলিউড তারকা হৃতিক রোশনের সাবেক স্ত্রী সুজানা খান এ বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আরিয়ানকে গ্রেফতার করা আসলে ‘ডাইনি খোঁজার মতো। এখানে আরিয়ানের কোনো ভূমিকা নেই। সে কেবল ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল। এ রকম ঘটনা দুঃখজনক। কারণ আরিয়ান খুবই ভালো ছেলে। আমি গৌরী ও শাহরুখের পাশে আছি। সুজানা ছাড়াও আরও কয়েকজন আরিয়ানের পক্ষে কথা বলেছেন। কয়েকজন শিল্পী আরিয়ানের গ্রেফতারের খবর পেতেই টুইটারে শাহরুখের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। পূজাভাট টুইটারে শাহরুখকে উল্লেখ করে লিখেছেন ‘আমি আপনার সঙ্গে আছি। জানি, এ কথাটিতে বিশেষ কোনো লাভ আপনার হবে না। কিন্তু মনে হলো তাই বললাম। এই কঠিন সময় আপনি পেরিয়ে যেতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’ সুনীল শেঠি টুইট করেছেন ‘তদন্ত তো শুরু হয়ে গেছে। এবার ছোট ছেলেটিকে একটু নিঃশ্বাস নিতে দিন।


পরিচালক হন্সল মেহতা, ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবিতে শাহরুখের সহঅভিনেত্রী সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তিও তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, ‘বাচ্চাটাকে শ্বাস নিতে দিন। সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে টুইট করেন পরিচালক হনসল মেহতা। তিনি টুইটে বলেন, একজন অভিভাবকের পক্ষে এটা খুবই বেদনাদায়ক মুহূর্ত, যখন তার সন্তানের জীবন সমস্যার মুখোমুখি হয়। টুইটারে তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে জানান, শাহরুখের পাশে রয়েছেন। এদিকে, টুইটারেও ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছে #ডবঝঃধহফডরঃযঝজক।


এদিকে ছেলে আরিয়ানের গ্রেফতারের পর আর পাঁচজন অভিভাবকের মতো চিন্তিত শাহরুখ খান ও গৌরী। গ্রেফতারের খরব পেয়ে রাতেই শাহরুখের বাড়িতে যান সালমান খান। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অনেকক্ষণ ছিলেন। তবে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। বিপদের দিনে কিং খানের পাশে আছেন তার অনুরাগীরাও। বলিউডের নামি পরিচালক করণ জোহর। আরিয়ান খানকে নিজের ছেলে বলেন করণ জোহর। আত্মজীবনীতে তেমনটাই লিখেছেন তিনি। আরিয়ানের শৈশবের খেলার সঙ্গী ছিলেন পরিচালক। সেই আরিয়ান এখন হাজতে। খবর পেয়েই বিদেশ থেকে মুম্বাইয়ে ছুটে এলেন তিনি। মুম্বাই বিমানবন্দরে নামতেই ধরা পড়লেন সাংবাদিকদের ক্যামেরায়। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু পোশাকশিল্পী মনীশ মলহোত্রা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই সোজা গাড়িতে ওঠেন দু’জন। আরিয়ানের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শাহরুখের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত খবর নিচ্ছেন। সুযোগ পেতেই তড়িঘড়ি ফিরে এসেছেন মুম্বাইয়ে। এক সময় শাহরুখের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ পড়েছিল। তখন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী এবং সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতেন পরিচালক। তার আত্মজীবনী ‘অ্যান আনস্যুটেবল বয়’-তে শাহরুখের পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা বারবার উঠে এসেছে। এমন বিপদের সময়ে যে খান পরিবারের পাশেই থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য।
 

ছেলে গ্রেফতারের পর শাহরুখ খানকে যে বার্তা দিলেন ভক্তরা
ছেলে আরিয়ান খানকে নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে রাতদিন এক করে ছেলেকে ছাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এদিকে শাহরুখ খানের এমন বিপদের সময় তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ভক্তরা। ‘বাদশা’কে সাহস যোগাতে তারা মান্নাতের সামনে গিয়ে দিয়েছেন বিশেষ বার্তা। সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি শাহরুখ খানের ফ্যান পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, মান্নাতের বাইরে একটি প্লাকার্ড ঝোলানো রয়েছে। এতে লেখা, ‘বিশ্বের সমস্তপ্রান্তের ভক্তরা হৃদয় থেকে ভালোবাসা জানাচ্ছি। আমরা আপনার অনুরাগী। দৃঢ় এবং নিঃস্বার্থভাবে আপনার এই কঠিন সময়ে আমরা পাশে রয়েছি। নিজের খেয়াল রাখবেন কিং। ’ 
 

মামলায় যে সাজা হতে পারে আরিয়ানের 
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এনডিপিএসের ৮সি, ২০, ২৭ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিবি। এনসিবি জানিয়েছেন, মাদক-কাণ্ডের অন্য দুই অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট আর মুনমুন ধামেচাকেএনসিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২০ হাজার রুপি জরিমানাসহ কারাদণ্ড হতে পারে।

(সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে ১১ অক্টোবর ২০২১ প্রকাশিত)