বৃহস্পতিবার, ০৭-ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

ঘুম মহামারীর কারণ আজও অজানা

shershanews24.com

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০৩:০৭ অপরাহ্ন

সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজের সৌজন্যে:  ১৯১৬ সালে ইউরোপে সিøপিং সিকনেস নামে একটি রোগ ছড়ায়। এ রোগে মানুষ দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকত। এতে অনেকের মৃত্যুও হয়। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এ রোগের প্রাদুর্ভাবকে পরে ঘুম মহামারী বলা হয়। 
ঘুম মহামারী
প্লেগ, করোনা, স্প্যানিশ ফ্লু-এর মতো মহামারীগুলো কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। আক্রান্ত হলে মৃত্যু যেন অবধারিত ছিল, মানুষ ফিরে এসেছে এমন ঘটনা ঘটত খুব কম। করোনার টিকা আবিষ্কার হওয়ায় এখন প্রকোপ কিছুটা হলেও কমে এসেছে। ভয়াবহ এ মহামারীগুলো ছাড়াও অদ্ভুত রকমের একটি মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের। এই মহামারীর নাম ‘ঘুম’। অবাক করা হলেও সত্যি, ঘুমও মহামারী হতে পারে আর কেড়ে নিতে পারে মানুষের প্রাণ।
১৯১৬ সালে শুরু হয়ে এই মহামারীর প্রকোপ ছিল ১৯৪০ সাল পর্যন্ত। ঘুম মহামারীর কারণ ছিল ‘এনসিফালিটিস লিথারজিকা’ অথবা ‘সিøপিং সিকনেস’ নামক রোগ। এ রোগে মস্তিষ্কের যন্ত্রণার কারণে ধীরে ধীরে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ইউরোপের অর্ধ মিলিয়ন মানুষ এ মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিল। ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতো। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, এ মহামারী ঠিক কেন আর কী কারণে হয়েছিল তার সঠিক তথ্য এখনো মানুষের কাছে অজানা।
ঘুম মহামারী নিয়ে তৈরি করা এক ডকুমেন্টারি থেকে জানা যায়, বিশ্বজুড়ে রোগটি ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে অনেক মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে এতে আক্রান্ত হয়। কেন মানুষ ঘুমে ঢলে পড়ে মারা যাচ্ছিল সেটা না জানতে পারা আরও একটি রহস্যের কারণ। গবেষকরা এখনো ঘুম মহামারী নিয়ে গবেষণা করছেন।
প্রাদুর্ভাব
সিøপিং সিকনেসে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যেত না, যা দেখে এ রোগ নির্ণয়ের কোনো উপায় ছিল। আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতো। অদ্ভুত ধরনের নিউরোসাইক্রিয়াটিক আচরণ নজরে আসত, মানুষ অলস হতে হতে ঘুমিয়ে পড়ত। এ অবস্থায় মানুষ এমনভাবে ঘুমিয়ে যেত যেন মনে হতো সে কোমায় চলে গিয়েছে। গভীর ঘুমের মধ্যে ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন পেশি শক্ত হয়ে যেত। ঘুমন্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এমন পরিবর্তন দেখলেই ধারণা করা হতো তিনি সিøপিং সিকনেসে ভুগছেন। করোনার সঙ্গে এ রোগেরও একটি মিল ছিল। করোনায় যেমন সবার শরীরে এক ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়নি, ঘুম মহামারীতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। একেকজনের শরীরে লক্ষণ দেখা দিত একেকভাবে। কারও কারও ক্ষেত্রে লক্ষণ বেশ জটিল হতো, কেউ হয়তো নীরবে মহামারীর শিকার হয়েছিলেন।
রোগ নিয়ে যতই বলা হোক, রোগটি মারাত্মক ছিল। সে সময়ের চিকিৎসার ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ রোগে এক-তৃতীয়াংশ রোগী শ্বাসকষ্টের কারণে মারা গিয়েছিল। মানুষের শরীরে স্নায়ুবিক অসুবিধা হলে এ সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে। রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছিল পাঁচ লাখেরও বেশি। তবে সুস্থ হয়েছিলেন এমন তথ্যও আছে।
ঘুম মহামারীতে কয়েক বছর টানা ঘুমিয়েছেন এমন কয়েকজন সুস্থ হওয়ার পর তাদের লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। জেগে ওঠার পর তাদের শরীরে কয়েক ধরনের পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে কেউ বলেছিলেন কোমায় চলে যাওয়ার আগে তাদের প্রায়ই পেশিতে ব্যথা হতো। সুস্থ হওয়ার পর তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসকরা নানা ওষুধ ও পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেন। পারকিনসন্স রোগের জন্য ব্যবহৃত এল-ডোপা নামে ওষুধটি ব্যবহার করা হয় সিøপিং সিকনেসের জন্য।
এনসিফালিটিস লিথারজিকা যখন প্রাদুর্ভাব ছড়ায়, সে সময় ইনফ্লুয়েঞ্জাও ব্যাপক আকারে ছড়াতে থাকে। গবেষকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইনফেকশন ছড়ানোর জন্য সিøপিং সিকনেস কোনো না কোনোভাবে প্রভাব রেখেছে। অপরদিকে, কিছু গবেষক বিশ্বাস করেন, দুই মহামারীর একত্রে প্রাদুর্ভাব ছড়ানো নিতান্তই কাকতালীয়।
চিকিৎসকদের ভূমিকা
১৯১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ডা. কন্সট্যানটিন ভন ইকোনোমো নতুন রোগ এনসিফালিটিস লিথারজিকা নিয়ে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। ভিয়েনা সোসাইটি ফর সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড নিউরোলজিতে সবার সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার জন্য তিনি একটি মিটিং-এর আয়োজন করেন। রোগটি নিয়ে সবাইকে জানানোর পর এ বিষয়ে প্রথম আর্টিকেল প্রকাশ করেন তিনি।
এ লেখায় সিøপিং সিকনেসের কারণে রোগীরা কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়েছিলেন ডা. কন্সট্যানটিন। রোগীরা জানিয়েছেন কতটা দীর্ঘ সময় তারা ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রথম লক্ষণ থাকে মাথাব্যথা ও অস্থিরতা। সহজে এ দুটি অবস্থা দূর হতো না। রোগী যখন ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকেন তখন তিনি নিদ্রায় চলে যান। এই নিদ্রাই অনেককে মৃত্যুর পথে নিয়ে গিয়েছে। যদি মৃত্যু নাও হয়, তবুও ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকেন। কোমার চেয়ে কোনো অংশেই এই ঘুম কম ছিল না। এছাড়া ক্রানিয়াল নার্ভে (মাথা, ঘাড় ও জিহ্বার সঙ্গে যুক্ত থাকা নার্ভ) প্যারালাইসিসও দেখা দিত। অনেকের চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দিত। ডা. কন্সট্যানটিন তার গবেষণাপত্রে জানিয়েছিলেন কীভাবে ঘর থেকে ঘরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে এবং নিজের শরীরের কাছে নিজেই বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এই রোগে যদি মানুষ এভাবেই ভুগতে থাকে, তবে মানবজাতির জন্য তা খুবই ভয়ানক হয়ে উঠবে এ বিষয়ে তিনি সতর্কও করেছিলেন।
রোগের বিস্তার
অল্প সময়ের মধ্যেই রোগটি দ্রুত বিস্তার লাভ করা শুরু করে। ১৯২০ থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে অসুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। সে সময়ের অফিশিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী, এই চার সালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছিল। এ রোগে মোট আক্রান্ত রোগী হিসাব করা হয়েছিল পাঁচ লাখ। এই পরিসংখ্যান মহামারীর পুরো সময়ের মোট মৃত্যু হার। ১৯২৪ সাল শেষে রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও ১৯৪০ সাল পর্যন্ত এর প্রভাব ছিল।
১৯২৯ সালে, ম্যাথসন রিপোর্ট এনসিফালিটিস লিথারজিকার ৮০টি সম্ভাবনাময় চিকিৎসার উপায় সংগ্রহ করে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির কয়েকটি মহামারীর সময়েও ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও এ রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসাগুলোর কোনোটিই পুরোপুরিভাবে কাজ করেনি। অসুস্থতা তীব্র পর্যায়ে চলে গেলে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায়। স্থায়ী কোনো লক্ষণ ছাড়া এক-তৃতীয়াংশ রোগী বেঁচে যান এবং বাকি এক তৃতীয়াংশ রোগী নিউরোলজিক্যাল নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হন।
১৯৪০ সাল পর্যন্ত সিøপিং সিকনেসে আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একেকজনের শরীরে লক্ষণ ও ধরন একেক রকমভাবে দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসকরা এ রোগের ২৮টি ধরন শনাক্ত করেছিলেন। তবে একটি বিষয়ে সবগুলো ধরনের মিল ছিল। নিউরোলজিক সিস্টেমে এসব ধরন কমবেশি প্রভাব ফেলত।
এক শতক পর
সিøপিং সিকনেস শনাক্ত করার এক শতক পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ রোগ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অধরা। গবেষক ও লেখকরা ঘুম মহামারী সম্পর্কিত রহস্যে ভরা প্রশ্নের কিছু নির্দিষ্ট ও স্পষ্ট উত্তর আজও খুঁজে যাচ্ছেন। শত বছর আগের এ মহামারী কীভাবে ও কেন শুরু হয়েছিল এবং এটি পরে আরও ঘটার সম্ভাবনা আছে কি না সেটি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
মহামারী কখনো শেষ হয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবারও ফিরে আসে। মূল বিষয় হচ্ছে, পৃথিবী এই মহামারীর মুখোমুখি হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেছে কি না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অতীতে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এ রোগের কারণ খুঁজে বের করার জন্য যথেষ্ট সাহায্য পাননি। এখন পর্যন্ত রোগটি সম্পর্কে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। তবে পরে কখনো আসতে পারে কি না তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
আফ্রিকান সিøপিং সিকনেস
১৯৯০ এর দশকে আফ্রিকাতে সিøপিং সিকনেসের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল বেশ কয়েকজন মানুষের মধ্যে। তাদের লক্ষণ ছিল আগের রোগের মতোই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অরনিডিল ও এফলোরনিথিন হাইড্রোক্লোরাইড নামক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এ ওষুধটি কোমায় থাকা মানুষদের সুস্থ করার জন্য ব্যবহার করা হতো।
আফ্রিকার এই সিøপিং সিকনেস কোনো ভাইরাসের মাধ্যমে হতো না। জাগ্রত অবস্থাতেই তারা এ রোগে আক্রান্ত হতেন। আফ্রিকার এক মাছি থেকে ছড়াত এ রোগ। লক্ষণ শুরু হতো ক্লান্তি, জ্বর ও মাথাব্যথা দিয়ে। ধীরে ধীরে হাড়ে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ত। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলার সঙ্গে সঙ্গে রোগী মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খিঁচুনি, কোমায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতো রোগীর।
আফ্রিকান সিøপিং সিকনেসের দুটো ধরন ছিল। আফ্রিকান পশ্চিম অংশে গ্যাম্বিয়ান এবং পূর্ব অংশে দেখা দিয়েছিল রোডেসিয়ান নামে দুটো ধরন। রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ২৫ হাজার আফ্রিকান।  
স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের মত
অধিশবহরহমং নামে সিøপিং সিকনেস নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন নিউ ইয়র্কের স্নায়ু বিশেষজ্ঞ অলিভার স্যাকস। এ বইয়ে তিনি দুই হাজার বছর পুরনো সিøপিং সিকনেস নিয়ে লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৫৮০ সালে ইউরোপের মহামারী এবং ১৬৭৩-১৬৭৫ সালের মধ্যে লন্ডনে ভয়াবহভাবে ছড়ানো প্রাদুর্ভাব। ইতালিতেও ১৮৮৯-৯০ সালে সিøপিং সিকনেস দেখা গিয়েছিল।
স্যাকস লিখেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে রোগটি প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছিল। যদিও সেটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তার বইয়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এ রোগটি ছড়ানো নিয়েও নানা তথ্য আছে।  ১৯১৬ সালের মহামারী সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছিলেন স্নায়ু বিশেষজ্ঞ ও মনোবিশ্লেষক স্মিথ এলি জেলিফ। তিনি স্যাকসকে লিখেছিলেন, ‘অতীত থেকে বারবার জানতে চাও কীভাবে এই রোগ ছড়িয়েছিল। খুঁজে বের করো কেন রোগটি নিয়ে কেউ আলোচনা করতে চায় না। এর পেছনে কারা আছে জানার চেষ্টা করো। কীভাবে একটি পুরো প্রজন্ম এমন একটি মহামারী হিসেবে অজ্ঞ থাকতে পারে?’
স্যাকস বলেন, ‘কিছু ভুলে যাওয়ার ঘটনা যতটা রহস্যজনক তার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। কারণ এটি সম্পর্কে না জানা মানে সচেতনতা নিয়ে অজ্ঞ থাকা। ১৯২৭ সালের দিকে যখন এর প্রকোপ কমে আসে, তখন চিকিৎসকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কিন্তু প্রভাব কিন্তু অনেকদিন ছিল। যদি আবারও এ রোগ ফিরে আসে তখন আমরা কীভাবে সামলাব?’
জনস হপকিন্স হাসপাতালের মেডিসিন ও নিউরোলজিস্ট প্রধান রিচার্ড টি জনসন। তিনি এনসিফালিটিস লিথারজিকার ইতিহাস জানতে সব সময়ই আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভাবি না যে এই রোগ আর কখনো দেখা গিয়েছে। কারণ সরাসরি একই লক্ষণ ও ধরন নিয়ে আক্রান্ত হতে আমি আর কোনো রোগীকে দেখিনি। এখনো এ রোগে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই। কারণ এমন হলে কোনো না কোনো রোগী আমি অবশ্যই পেতাম।’ (১৯৯১ সালে প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত বক্তব্য)
জনসনের বিশ্বাস যদি আরও একবার এ রোগের দেখা মিলত তাহলে কোনোভাবেই বিজ্ঞানীরা ওষুধ আবিষ্কার না করে থামতেন না। তিনি বলেন, ‘ভাইরাস ছড়ালে আমরা নিজেদের আইসোলেট করে ফেলি। চিকিৎসা শুরু করি। সে সময় শুধু খরগোশ ও বানরকে টিকা দিয়ে গবেষণা করা যেত। তখন কোনো সেল কালচার ছিল না, কোনো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ বা অণু দেখার মতো যন্ত্র ছিল না। তাই গবেষণার বিষয়টি সামনেও আসেনি। কিন্তু পরে এসব সমস্যা ছিল না। যদি রোগ সামনে আসত, অবশ্যই তার সমাধান নিয়েও আলোচনা হতো।’
(সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে ১১ অক্টোবর ২০২১ প্রকাশিত)