
shershanews24.com
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৩৯ অপরাহ্নশীর্ষনিউজ ডেস্ক: ২০০৭ সালে আফ্রিকার কঙ্গোর জঙ্গলে মৃত মায়ের কোলে শুয়ে ছিল দু' বছরের ছোট্ট দাকাশি। সেখান থেকেই বনকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছোট্ট গরিলা জঙ্গলে ফিরতে একা ভয় পাচ্ছিল। তাই তাকে অনাথ মাউন্টেন গরিলা সেন্টারে রাখা হয়।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানে সে বড় হতে থাকে। দাকাশি ছিল এক বিরল প্রজাতির মাউন্টেন গরিলা। সেখানে বন্ধুত্ব তৈরি হয় কেয়ারটেকার আন্দ্রে বৌমার সাথে। আন্দ্রে বৌমা ও দাকাশির সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর।
আন্দ্রে নিজেই তাঁর স্মৃতিচারণায় জানিয়েছেন, ‘এরকম একটা প্রাণীকে দেখাশোনা ও যত্ন করার সুযোগ পাওয়া গর্বের। বিশেষ করে এত ছোট বয়সে এত কষ্ট সহ্য করেছে দাকাশি। দাকাশি খুবই মিষ্টি স্বভাবের ও বুদ্ধিমতী ছিল। ও আমাকে বুঝিয়েছিল মানবজাতির সর্বশক্তি দিয়ে প্রাণীদের রক্ষার কাজ করা উচিত। আমি দাকাশিকে আমার বন্ধু বলতে পেরে গর্বিত। ওকে আমি একটা শিশুর মতো ভালোবেসেছি। যখনই ওর সঙ্গে দেখা হয়েছে, আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছে দাকাশি।’ আন্দ্রের বুকে মাথা রেখেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে দাকাশি। বয়স হয়েছিল ১৪ বছর।
২০১৯ সালে বনকর্মীর সেলফিতে দারুণ লুক দিয়ে দাঁড়িয়েছিল দাকাশি নামক এই গরিলাটি। সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয় বিশ্ববাসীর কাছে। দাকাশি পরিচিতি লাভ করে সেলফি কুইন নামে। এক দশকেরও বেশি দাকাশি ছিল পার্কের সেনকোয়েকি সেন্টারে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আন্দ্রের বুকে মাথা রেখে দাকাশির মৃত্যুর ছবি রীতিমতো সারা বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি জারি করে দাকাশির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
সেখানে লেখা হয়েছে, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় অনাথ মাউন্টেন গরিলা দাকাশি মারা গেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পার্কের সেনকোয়েকি সেন্টারে ছিল সে।’ দাকাশির মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া তার ভক্তদের মনে। সূত্র: usatoday.com
শীর্ষনিউজ/এসএফ